শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০০৯

ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা ও শহীদ মালেক


ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা ও শহীদ মালেক
মোঃ আল-আমিন সরকার
একটি শিশু মায়ের পেট থেকে পৃথিবীতে পদার্পন করে সুন্দর হৃদয় ও মন-মস্তিষ্ক নিয়ে। যাকে তুলনা করা যায় স্নিগ্ধ সুবাস ছড়িয়ে পড়া ফুলের মতো। এ শিশুকে নিয়ে দেশ, জাতি ও সমাজের অনেক আশা-আকাঙ্খা থাকে। ছোট শিশু মায়ের কোলে থাকে হিরা মানিকের মতো উজ্জ্বল মুসলিম মানুষ। এই মানুষটি প্রথমে পরিবারের রজ্জু ধরে গড়ে উঠে। তার শৈশব থেকে বেড়ে উঠা নির্ভর করে পরিবার ও পারিপাশ্বর্িক অবস্থার উপর। পরিবার তাকে যা শেখায়, যেভাবে শেখায় তা সেভাবেই শেখে। শিশুর গড়ে উঠার পেছনে পরিবার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। পরিবার ইসলামী আদর্শ নাগরিক হতে বাধ্য। আর তা না হলে আত্নার মৃতু্য অনিবার্য। পরিবারের পর যে ধাপটি অতিক্রম করতে হয় তা হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার যে অবস্থা তা তাকে ইসলামের কথা ভুলিয়ে দিয়ে পাশ্চাত্য সভ্যতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। যা তাকে শিক্ষা দেয় পাশবিক যৌনতা আর হিংস্রতা। এসব শিখে সে কিভাবে জাতির সেবা করবে? কিভাবে তার দ্বারা একটি সুন্দর পৃথিবীর গড়ার আশা করা যাবে? ইসলাম শিক্ষার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যা পড়ানো হচ্ছে তাতে শিক্ষার্থী ইসলামকে নিছক একটি ধর্ম হিসেবেই জানছে। ইসলামকে জীবন বিধান হিসেবে জানতে এবং মানতে পারছেনা। অথচ ইসলাম এমন একটি জীবন বিধান যা দ্বারা একটি শিশুকে তার বার্ধক্য অবশেষে মৃতু্য পর্যন্ত ফুলের মতো নিষ্কলুষ রাখা সম্ভব।
সুতরাং একটি জাতিকে পরিবর্তনের জন্য প্রথমে দরকার শিক্ষা ব্যবস্থার সংশোধন এবং পরিমার্জন। আদর্শ শিক্ষা ব্যবস্থা হচ্ছে ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা । যা প্রতিটি মানুষকে দেশের আদর্শ নাগরিক করে গড়ে তুলতে সক্ষম। এ বিশ্বাসকে ধারণ করেই একজন ব্যক্তিত্ব তাঁর প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তার দ্বারা ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার পক্ষে জোড়ালো অবস্থান নিতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন। তিনি হচ্ছেন আমাদের শহীদ আব্দুল মালেক ভাই। আল্লাহ পাক তাঁর শাহাদাত কবুল করুন। আমীন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন